top of page
Writer's pictureAnupam Dubey

জীবন্ত স্ত্রীদের শ্রাদ্ধ করলেন ১৫০ পুরুষ, চাঞ্চল্য বারাণসীতে


তাঁদের উদ্দেশ্য একটাই— বারাণসীর পবিত্র ভূমিতে তাঁরা তাঁদের স্ত্রীদের পারলৌকিক কাজ করতে চান। না, তাঁদের স্ত্রীরা কেউই পরলোকগত নন। রীতিমতো জীবিত।

জীবন্ত স্ত্রীদের শ্রাদ্ধ করলেন ১৫০ পুরুষ, চাঞ্চল্য বারাণসীতে

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসছেন তাঁরা। বয়সও বিভিন্ন। তবে, তাঁদের উদ্দেশ্য একটাই— বারাণসীর পবিত্র ভূমিতে তাঁরা তাঁদের স্ত্রীদের পারলৌকিক কাজ করতে চান। না, তাঁদের স্ত্রীরা কেউই পরলোকগত নন। রীতিমতো জীবিত।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ১৫০ জন পুরুষ বারাণসীতে সমবেত হয়েছেন তাঁদের জীবন্ত স্ত্রীদের শ্রাদ্ধ করার জন্য। এই কাজ সেরে তাঁরা ‘পিশাচিনী মুক্তি যজ্ঞ’ করে গঙ্গায় স্নান করবেন। কারণ তাঁদের ‘দজ্জাল’ স্ত্রীরা তাঁদের জীবন দুর্বিষহ করে রেখেছেন।

এই কাণ্ডটির সংগঠক ‘সেভ ইন্ডিয়ান ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংস্থা। এই সংস্থার লক্ষ্য পুরুষ ও পরিবারের স্বার্থরক্ষা। সংস্থার সদস্য রাজেশ ভাখারিয়া জানিয়েছেন, ভারতীয় আইন মূলগত ভাবে পুরুষের বিপক্ষে। এ দেশে পশুকল্যাণেরও মন্ত্রক রয়েছে, কিন্তু পুরুষের প্রতি অন্যায় রোধের কোনও ব্যবস্থা নেই।

সংস্থার আর এক সদস্য অমিত দেশপাণ্ডে এই শ্রাদ্ধকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। তিনি দেশের ‘অত্যাচারিত’ স্বামীদের ডাক দেন নিজেদের ভয়াবহ বিবাহিত জীবনের শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করার জন্য। বছরের পর বছর ধরে এই পুরুষরা তাঁদের স্ত্রীদের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। এবার মুক্তির পালা। পিণ্ড দিয়ে, পিশাচিনী মুক্তি পূজা সেরে, গঙ্গায় স্নান করে তাঁরা মুক্ত হতে চান বিবাহিত জীবনের ভয়ঙ্কর স্মৃতি থেকে।

রাজেশ ভাখারিয়া জানিয়েছেন, প্রতি বছর এদেশে দাম্পত্য কলহে ৯২,০০০ পুরুষ আত্মহত্যা করেন, যেখানে দাম্পত্য কলহে আত্মঘাতী স্ত্রীদের সংখ্যা বছরে ২৪,০০০। ভারতীয় পেনাল কোডের ৪৯৮এ আইনটির অপব্যবহার ঘটিয়ে হাজার হাজার পুরুষের জীবন বিনষ্ট করে দেন মহিলারা, এমনই মত রাজেশ ভাখারিয়ার। পাশাপাশি অমিত দেশপাণ্ডে জানিয়েছেন, ‘বিষাক্ত নারীবাদ’ ভারতীয় বিবাহিত পুরুষের জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই শ্রাদ্ধকাণ্ড সেই বিষের বিরুদ্ধে শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যেই।

Source, here.

0 comments
bottom of page